নাম
এই ইউনিয়নের একই উদ্দেশ্য সাধনে মিলিত পশ্চিমবঙ্গের কলেজ সমূহে কর্মরত শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। এই ইউনিয়নের নাম হবে West Bengal College tere Employees' Union সংক্ষেপে W. B. C. E. U. যার বাংলা হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষাকর্মী ইউনিয়ন'।
পতাকা
পতাকার রঙ হবে সাদা। পতাকার দৈর্ঘ্য হবে প্রস্থের দেড়গুণ। পতাকার কেন্দ্রস্থলে প্রতীকটি লাল রঙে আঁকা থাকবে।
কাৰ্য্যালয়
বর্তমান ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয় হবে ২৪৯, বি. বি. গাঙ্গুলী ষ্ট্রীট, কলকাতা - ১২। কার্যালয়ের ঠিকানার কোন পরিবর্তন হলে তা সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে এবং পশ্চিমবঙ্গ ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের রেজিষ্টারকে পরিবর্তনের ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
লক্ষ্য
- ক) বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থার
- খ) কলেজ শিক্ষাকর্মীদের স্বার্থ উন্নত ও রক্ষা করা এবং শিক্ষাকর্মী স্বার্থে অন্যান্য সংগঠনের সাথে রাজ্য ও জাতীয় স্তরে ঐকবস্থার
- গ) জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কলেজ শিক্ষাকর্মীদের বৈধ স্থান সুরক্ষিত করা।
- ঘ) কলেজ শিক্ষাকর্মীদের মর্যাদা ও নৈতিকমান রক্ষা করা
- ঙ) জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও নিরাপত্তার উপর যে কোনও আক্রমণ এবং সবপ্রকার শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা।
- চ) কলেজ শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের চেতনার উন্নতি সাধন করা।
- ছ) শিক্ষাকর্মী, শিক্ষক, ছাত্র এবং বৃহত্তর জনগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
উদ্দেশ্যঃ
ইউনিয়ন নিয়োগকর্তার এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য সরকরের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সদস্যদের অবস্থার উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি সাধন করতে কঠোরভাবে চেষ্টা করবে এবং কৈবলমাত্র শেষ অস্ত্র হিসাবে ধর্মঘটের পথ অবলম্বন করবে। আর্থিক সঙ্গতি থাকলে সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে এই ইউনিয়ন প্রতিবিধানের জন্য :
- ক) নিয়োগকর্তার সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে যদি কোন সদস্য আইনগতভাবে অভিযুক্ত হন তবে সদস্যদের অধিকার রক্ষার্থে মোকদ্দমা পরিচালনা করবে।
- খ) কোনও সদস্যের অনুকূলে শিল্প বিরোধ পরিচালনা করবে।
- গ) শিল্পবিরোধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সভ্যকে ক্ষতিপূরণ দান করবে।
কার্যের পরিধিঃ
এই ইউনিয়নের কার্যপরিধি কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্যান্য রাজ্যে গঠিত শিক্ষাকর্মীদের ইউনিয়নসমূহ নিয়ে জাতীয় মঞ্চ গঠনের চেষ্টা করবে ও গঠিত হলে তাতে যোগদান করবে।
সাধারণ সদস্য
- ক) ১৮ বৎসর বা তদুর্দ্ধ বয়স্ক কলেজে কর্মরত যে কোন শিক্ষাকর্মীই ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য হবার উপযুক্ত। প্রত্যেক সাধারণ সদস্যকে ভর্তি ফি হিসাবে ১৫টাকা ও মাসিক চাঁদা ১৫ টাকা নাম a¡¢mL¡i¥¢š²l সময় প্রদান করতে হবে ও প্রতি মাসের শেষে প্রদত্ত মাসিক চাঁদা দিতে হবে। মাসিক চাঁদা নিম্নলিখিত ভাবে বন্টন হবে যা ১লা এপ্রিল, ২০০৯ থেকে কার্যকরী
কেন্দ্রীয় সংসদ ៖ ৪ টাকা
জেলা কমিটি : ৫ টাকা
ইউনিট কমিটি : ৬ টাকা - খ) অবিচারের শিকার যে কোনও কলেজ শিক্ষাকর্মী উপরিউক্ত চাঁদা প্রদান করে ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবেন।
- গ) রাজ্য ও জেলা স্তরে ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পদে নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মানীয় সদস্য হবার জন্য আহ্বান করা যেতে পারে। তাঁদেরকে কোনও সদস্য চাঁদা প্রদান করতে হবে না। সম্মানীয় সদস্যের সংখ্যা কোনো সময়েই রাজ্য কমিটিতে ৫ জন ও জেলা কমিটিতে ২ জনের বেশী হবে না। রাজ্য কমিটি রাজ্য সম্মেলন থেকে সাম্মানিক সদস্যপদ দেবে এবং জেলা কমিটি জেলা সম্মেলন থেকে জেলায় সাম্মানিক সদস্যপদ দেবে এবং রাজ্য কমিটি থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
সদস্যদের বিশেষ অধিকার
- ক) কমিটি ও উপকমিটি সমূহ নির্বাচন করা এবং ঐগুলিতে নির্বাচিত হওয়া ।
- খ) ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত সমূহ এবং নীতি নির্ধারণার্থে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা ৷
- গ) ইউনিয়নকে শক্তিশালী করার জন্য উৎসর্গীকৃত ও ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়নের সেবা করা।
- ঘ) ইউনিয়নের সকল কাজে অংশগ্রহণ করা।
- ঙ) ইউনিয়নের সম্মেলনে যোগদান করা।
সদস্যপদ খারিজ
- ক) কোনও সভ্য ইউনিয়নের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করলে এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ও অসততায় যুক্ত হয়ে পড়লে ঐ কমিটি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্ট কমিটি সমস্ত তথ্য-প্রমাণ উচ্চতর কমিটির কাছে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ২ সপ্তাহের মধ্যে পেশ করতে হবে। উচ্চতর কমিটি অনুমোদন করলে তবেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কার্যকরী করা যাবে
নিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হবে- অ) সাময়িক বহিষ্কার
- আ) এক বৎসরের জন্য বহিষ্কার
- ই) বহিষ্কার
- খ) কলেজে কর্মরত না থাকলে সদস্যপদ খারিজ হবে।(
- গ) কোনও সদস্য পরপর তিনমাস চাঁদা না দিলে তার সদস্যপদ খারিজ হবে। অবশ্য বকেয়া চাঁদা মিটিয়ে দিলে আবার সদস্যপদভুক্ত হতে পারবেন ।
সদস্য তালিকা
জেলা কমিটি সদস্যদের নামের তালিকা রাজ্য কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে নতুন বছরের মার্চ মাসের মধ্যে। শাখা কমিটিকে এই তালিকা জেলা কেন্দ্রে জমা দিতে হবে ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে।
কেন্দ্রীয় সংসদ
সমস্ত সদস্যদের সাধারণ সভার নিয়ন্ত্রণাধীন থেকে কেন্দ্রীয় সংসদ ইউনিয়নের সমস্ত প্রশাসনিক কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সংসদ (কাউন্সিল) কতজনকে নিয়ে গঠিত হবে বিদায়ী কার্য্যনির্বাহক কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী সম্মেলন সিদ্ধান্ত নেবে। এই সব কাউন্সিল সদস্য ইউনিয়নের সম্মেলনে নির্বাচিত হবেন। কেন্দ্রীয় সংসদের সভা বৎসরে কমপক্ষে ন্যূনতম ১টি অনুষ্ঠিত করতে হবে।
কাৰ্যনিৰ্বাহক কমিটি
কেন্দ্রীয় সংসদের নিয়ন্ত্রণাধীন থেকে কাৰ্য্যনির্বাহক কমিটি ইউনিয়নের সমস্ত কাজ পরিচালনা করবে। কার্য্যনির্বাহক কমিটি কতজনকে নিয়ে গঠিত হবে তা নির্ধারণ করবে নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সংসদ (কাউন্সিল) তাদের প্রথম সভায় ।
সম্পাদকমণ্ডলী
নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহক কমিটি দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার জন্য প্রথম সভায় একজন সভাপতি, একজন কার্য্যকরী সভাপতি, সাতজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, পাঁচজন যুগ্ম সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং একজন অফিস সম্পাদক নির্বাচিত করবে (নির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদকের একজন লিট ইনচার্জ হবেন)। সমস্ত সদস্যই সম্মেলনে নির্বাচিত হবেন এবং মৃত্যু না হলে বা অযোগ্য বিবেচিত না হলে বা ইউনিয়ন স্বার্থবিরোধী না হলে পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত পদে বহাল থাকবেন।
- ক) নবনির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটি পদাধিকারী সহ অন্যদের নিয়ে একটি সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করবে। কতজনকে নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হবে তা নবনির্বাচিত কাৰ্য্যনির্বাহক কমিটির প্রথম সভায় ঠিক করবেন।
- খ) গঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর কাজ হবে সকল কাজে সাধারণ সম্পাদককে সক্রিয় সহযোগিতা করা, যৌথ নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ও কার্য্যকরী করা।
- গ) নব-নির্বাচিত কার্য্যকরী কমিটির প্রথম সভায় সংগঠনের মুখপত্র 'আয়ুধ'-এর সম্পাদক নির্বাচন করা হবে।
- ঘ) ‘আয়ুধ’-এর সম্পাদকমণ্ডলী গঠন করবেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী।
জেলা কমিটি
- ক) বিদায়ী জেলা কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে জেলা সম্মেলন পরবর্তী জেলা কমিটি কতজনকে নিয়ে গঠিত হবে তা নির্ধারণ করবে। প্রত্যেক জেলায় সম্মেলন থেকে জেলা কমিটি গঠিত হবে।
-
খ) জেলা সম্পাদকমণ্ডলী
যাতে একজন সভাপতি, একজন কার্য্যকরী সভাপতি, তিনজন সহ-সভাপতি, একজন সম্পাদক, তিনজন সহ-সম্পাদক এবং একজন কোষাধ্যক্ষ থাকবেন । উক্ত পদাধিকারী সহ অন্যদের নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হবে। কতজনকে নিয়ে সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হবে তা নব-নির্বাচিত জেলা কমিটির প্রথম সভায় ঠিক হবে। সম্পাদকমণ্ডলীও ঐ সভায় গঠিত হবে। - গ) জেলা কমিটির কার্যাবলী কেন্দ্রীয় সংসদ অনুমোদিত কার্যনির্বাহক কমিটির উপবিধিগুলির দ্বারা এবং উচ্চতর কমিটিগুলির সাধারণ নির্দেশানুসারে পরিচালিত হবে
- ঘ) ইউনিট সম্মেলনে নির্বাচিত হলে সকল বৈধ সদস্যই দ্বি-বার্ষিক জেলা সম্মেলনে যোগদানের অধিকারী। জেলার সমস্ত বৈধ সদস্য পিছু কতজনে একজন করে জেলা সম্মেলনের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণ করবে বিদায়ী জেলা কমিটি I
- জেলা কমিটিকে বৎসরে কমপক্ষে ৬টি সভা করতে হবে।
- চ) সম্পাদকমণ্ডলীকে প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করতে হবে এবং সমস্ত সদস্য নিয়ে বছরে অন্ততঃ একটি সাধারণ সভা করতে হবে ।
ইউনিট কমিটি
- ক) প্রতি কলেজে একজন সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, একজন সম্পাদক, একজন সহ-সম্পাদক এবং একজন কোষাধ্যক্ষ সহ ন্যূনপক্ষে ৭ জনকে নিয়ে ইউনিট কমিটি গঠিত হবে।
- খ) ইউনিট কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদ অনুমোদিত কার্যনির্বাহক কমিটির উপবিধিগুলির দ্বারা এবং উচ্চতর কমিটিগুলির সাধারণ নির্দেশানুসারে পরিচালিত হবে।
সম্মেলন
- ক) ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন কার্যনির্বাহক কমিটির দ্বারা স্থিরীকৃত স্থানে সময়সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
- খ) জেলা সম্মেলনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে সকল বৈধ সদস্যই দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের অধিকারী। জেলার বৈধ সদস্য প্রতি কতজনে একজন করে রাজ্য সম্মেলনে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন তা নির্ধারণের দায়িত্ব থাকবে কাৰ্যনিৰ্বাহক কমিটির উপর। কার্যনির্বাহক কমিটির সমস্ত সদস্যরাই পদাধিকার বলে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন ।
- গ) দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের অন্ততঃ এক মাস পূর্বে সাধারণ সম্পাদক কাৰ্যনিৰ্বাহক কমিটির স্থিরীকৃত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের দিন ও সময়সূচী সম্পর্কে ঘোষণা জারি তা করবেন।
সম্মেলনের সভাপতিমণ্ডলী ও পরিচালন কমিটি
- ক) সভাপতিমণ্ডলী - সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের দ্বারা সম্মেলনের সভাপতিমণ্ডলী গঠিত হবে।
- খ) পরিচালক কমিটি সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের দ্বারা বার্ষিক সম্মেলনের পরিচালক স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হবে।
তহবিল সমূহ
ইউনিয়নের একটি সাধারণ তহবিল থাকবে যাতে সদস্যদের চাঁদা, এককালীন দান এবং অন্যান্য বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া সমস্ত এ আয় জমা থাকবে। ১৯২৬ সালের ট্রেড ইউনিয়ন আইনের ১৬নং ধারায় বর্ণিত রাজনৈতিক কারণে ব্যয়িত ব্যয় ব্যতীত পদাধিকারীদের বেতন ও ভাতা, সংস্থার ব্যয় এবং আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থাদির জন্য ব্যয় প্রভৃতি সমস্ত ব্যয়ই তহবিল থেকে ব্যয়িত হবে। কোনও বিশেষ ব্যয় আইনানুগভাবে নির্বাহ ও সাধারণ *তহবিল থেকে ব্যয়িত করার ক্ষেত্রে সন্দেহ দেখা দিলে বিষয়টি ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের রেজিষ্টারের কাছে প্রেরণ করতে হবে এবং তাঁর সিদ্ধান্ত ইউনিয়ন মেনে নেবে।
রাজনৈতিক তহবিল সমূহ
প্রয়োজন বিধায়:ট্রেড ইউনিয়ন আইনের ১৬নং ধারায় যেন ১৯২৬ বা উল্লিখিত অন্যান্য উদ্দেশ্যসমূহের জন্য সদস্যদের বিশেষ তহবিলে সাহায্য দানের আহ্বান জানাবে। উক্ত তহবিলে সাহায্য দান সদস্যভুক্তির শর্ত করা যাবে না চদা এবং কে এবং কোন সদস্য অস্বীকৃতি জানালে তাকে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন করাযাবে না।
তহবিলের নিরাপদ রক্ষণাবেক্ষণ
তহবিলের সমস্ত অর্থ এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হবে বা অনুমোদিত নিরাপত্তামূলক বিনিয়োগে বিনিয়োগ করা হবে। যখন ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট খোলা হবে তখন সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ যুগ্মভাবে এ্যাকাউন্টগুলি পরিচালনা করবেন।
* জেলা কমিটি/ইউনিট কমিটিকেও ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
বার্ষিক হিসাবের বিবরণ ও বার্ষিক হিসাব পরীক্ষা
বিভিন্ন হিসাবের বইয়ের ব্যবস্থা করা ও তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদকের। ইউনিয়নের স্বাভাবিক অফিস চলাকালীন সময়ে এই সমস্ত হিসাবের বই পদাধিকারীগণ ও সাধারণ সদস্যদের জন্য খোলা থাকবে । শিল্পী ১৯৭২ সালের বঙ্গীয় ট্রেড ইউনিয়ন নিয়মাবলীতে উল্লিখিত পদ্ধতিতে প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বরের পরে এই হিসাব পরীক্ষিত হবে এবং তারপর কার্যনির্বাহক কমিটি ১৯২৬ সালের বঙ্গীয় ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ম অনুসারে উক্ত বাৎসরিক হিসাব ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিস্টারের নিকট পেশ করবেন। অডিটরকে দিয়ে অডিট করানো বাধ্যতামূলক।
সভার সিদ্ধতা
কেন্দ্রীয় সংসদ, কার্যনির্বাহক কমিটি, সম্পাদকমণ্ডলী, জেলা কমিটি ও ইউনিট কমিটির সভা সিদ্ধতার জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন । অসিদ্ধ সভার পরবর্তী সভা বা মুলতুবি সভার জন্য এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে ।
সংযোজন
কেন্দ্রীয় সংসদ বা কাৰ্য্যনির্বাহক কমিটিতে সাময়িক শূন্য পদে কার্যনির্বাহক কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন সদস্য সংযোজনের অধিকার থাকবে। ২৫। গঠনতন্ত্রের সংশোধনীতে কর্ম। চালক দাতার >> ইউনিয়নের বিধিসমূহ পরিবর্তন সংশোধন ও বাতিল দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বা কাউন্সিল সভায় করা যাবে। বিধিসমূহের পরিবর্তন বা পরিবর্তনগুলি দ্বিবার্ষিক সম্মেলন বা ঐ উদ্দেশ্যে আহুত কাউন্সিল সভা হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের রেজিষ্টারকে জ্ঞাত করতে হবে এবং যতদিন পর্য্যন্ত না ঐ পরিবর্তন নথিভুক্ত হয় ও সেই মর্মে ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের রেজিষ্টারের কাছ থেকে প্রমাণপত্র না পাওয়া যাবে ততদিন পর্যন্ত এই পরিবর্তন কার্যকরী হবে না ।
গঠনতন্ত্রের প্রয়োগ
গঠনতন্ত্রের প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য কমিটির ব্যাখ্যাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
সংগঠনের সমাপ্তি
লোক ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটানোর বিশেষ উদ্দেশ্যে আহুত সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যের সমর্থনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটানো যাবে না। এই সভার সিদ্ধতার জন্য বৈধ সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশের উপস্থিতি প্রয়োজনীয় হবে। এই সভা ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটার পর যদি কোনও তহবিল গজল থাকে তার বিলিবন্দোবস্ত সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ইউনিয়নের সমাপ্তি BY ঘটানোর সভা হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফর্মে ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিষ্টারের মিকট সমাপ্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি পেশ করতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গ ট্রেড ইউনিয়নসমূহের রেজিষ্টার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্য্যন্ত এই সমাপ্তি ঘোষণা কার্যকর হবে না ।
